নতুন কোন ঘটনা জানার আগ্রহ এবং কোন বিষয়কে জানানোর আগ্রহ একটি সহজাত প্রবৃত্তি। আপনার ব্যক্তিগত কোন বিষয়ে সাফল্য বা ব্যর্থতা বন্ধুদের জানানোর যেমন আগ্রহ তৈরী হয় ঠিক তেমনি বন্ধুরাও আপনার খোজ খবর জানতে চান। বিষয়টি এখন শুধু এতটুকুতেই সিমাবদ্ধ নয়। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই জানা ও জানানোর অবস্থানের উপরে চলছে বিশাল বানিজ্য আর এই্ বানিজ্যের একটা আংশ সংবাদ মাধ্যম। নতুন মাধ্যম হিসেবে আছে সামাজিক নেটওয়ার্ক ও ব্লগিং।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় জনগুরুত্বপূর্ণ বা আলোচিত কোন বিষয়। আবার তেমনি অনেক কিছুই আলোচনার বাইরেও থেকে যায়। সামাজিক নেটওয়ার্কও (যেমন-ফেসবুক, টুইটার) এক ধরনের সংবাদ মাধ্যম বলা যায়। পরিচিতদের খবরাখবর প্রকাশিত হয় এখানে। এখানে সবাই তাদের খবরাখবরের সাথে ছবি, ভিডিওও প্রকাশ করছে, তার উপরে আলোচনার হিড়িক বইছে। বিষয়টির আরেকটু গভীরে গিয়ে বেশ কিছু দেখে নেই।
জানার আগ্রহ
আপনি কি কি বিষয়ে জানতে বেশি আগ্রহী? আপনি কি পত্রিকার সব খবরই পড়েন? সামাজিক নেটওয়ার্কের সব স্ট্যাটাসকে কি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন? কোন ই-মেইল গুলোর গুরুত্ব আপনার কাছে বেশি? বেশ কিছু বিষয়ে মানুষের জানার আগ্রহটা একটু বেশি।
স্থানঃ
আফ্রিকায় জঙ্গলের কোন এক জায়গায় “বাঘের আক্রমনে পাঁচ জন মারা গেছে” এই খবরের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে “আপনার এলাকায় কোন সরক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছে” এই খবরটা। আপনার কোন বন্ধু বা আত্নীয় যদি কোন একটি দেশে বসবাস করে এবং সেই দেশে প্রকৃতিক দুর্যোগ হলে আপনি বেশি চিন্তিত হয়ে পরবেন। স্থানের গুরুত্ব অনেক আগে থেকেই সাংবাদিকরা জানে। বর্তমান সময়ে সামাজিক নেটওয়ার্কসহ অনলাইন মিডিয়া গুলোও ভৌগোলিক সীমারেখা ও ভাষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারফেস রাখছে।
সময়ঃ
সাম্প্রতিক এবং অদূর ভবিষ্যতের প্রতি মানুষের ঝোক অনেক বেশি। টেক দুনিয়াতেও ভবিষ্যত গোপন অনেক তথ্যই কোটি টাকার বেশি দামী।
সুনির্দিষ্ট পছন্দের বিষয়ঃ
কোন বিষয়ে পারদর্শী বা পছন্দের বিষয়ে সবার ঝোক একটু বেশিই থাকে। এটা একটা সহজাত প্রবৃত্তি, এক এক জন এক একটি বিষয়ে আগ্রহী হয়। কেউ সাহিত্যে কেউ বা বিজ্ঞান বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়। শিশুদের পছন্দের বিষয়ের সাথে বড়দের পছন্দের অমিল থাকে অনেক। একটি ব্লগ তৈরী করলে সব ধরনের পাঠক যে সেটা পছন্দ করবে না তা মেনে নিতেই হবে।
প্রিয় ব্যক্তিত্ব, আদর্শ ও ধর্মঃ
কোন কোন আদর্শ মানুষকে পথ চলতে সহায়তা করে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নিয়ম, সংস্কৃতিও মানুষের পড়ার বিষয়কে আন্যের থেকে আলাদা করে দেয়।
জানানোর আগ্রহ
যে সব বিষয় আপনাকে আকর্ষণ করে আপনি কি সেই বিষয়গুলো অন্যের সাথে শেয়ার করেন? অনেকেই শেয়ার করেন আবার অনেকেই শেয়ার করেন না।
সামাজিক নেটওয়ার্ক, ই-মেইল বা অন্যন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে সব বিষয় একে আন্যের সাথে শেয়ার করে তা কি শ্রোতা/পাঠকেরর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়? আপনি যদি ব্লগার হন তাহলে বিষয়টি অবশ্যই ভাবনার আছে বা আপনি নিজেও ভেবেছেন নিজের অজান্তে। আপনি ভেবেছেন যে এটি কি সবাই পড়বে বা জিনিসটি কি উপকারী কিছু হবে কিনা।
সামাজিক বা রাষ্ট্রিয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপরে ধারাবাহিক একটা আগ্রহ কাজ করে। সৃষ্টি বা ধ্বংশ যা ব্যপক জনগোষ্ঠির উপরে প্রভাব ফেলে তা আলোচিত বিষয় হিসেবে দেখা যায়। শুধু তাই নয় কোন একটি চলচিত্র বা কোন পুরষ্কারের কথাও ব্যাপক আলোচিত হয়। ব্যক্তিগত জীবনে প্রত্যেকে তার কাছের ও পছন্দের বিষয়ে আলোচনা করতে চায়। প্রযুক্তিতে আগ্রহী ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় ও সমস্যা নিয়ে একে অন্যের সাথে আলোচনা করে যা প্রযুক্তি ব্লগেও কিছুটা দেখা যায়।
এসব কথা অনেকেরই জানা, তার পরেও এই বিষয়টি নতুনভাবে বলার কারন হলো- ব্লগিং এ যারা প্রফেশনালভাবে প্রবেশ করতে চায়, যারা তাদের লেখুনিকে টাকায় পরিনত করতে চায় তাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলোতে মন দিতে হয়। নিজের আগ্রহ এবং পাঠকের আগ্রহ দুটি বিষয় মিলিয়ে ফেলতে পারলে এবং সেটা সঠিকভাবে পাঠকের কাছে নিয়মিত পৌছাতে পারলে ব্লগকে স্বার্থক করা সময় সাপেক্ষ হবে না বলে মনে করি।
http://banglamdfarid-com.webs.com/
No comments:
Post a Comment