এইতো সেদিনই সোস্যাল নেটওয়ার্ক হিসাবে আত্ত্বপ্রকাশ করলো গুগল প্লাস। তারপর তাদের ব্রান্ড সার্ভিস হিসাবে আসলো প্লাস ফ্যান পেজ। তাদের(গুগল প্লাস) সোস্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার সাথে তাল মিলিয়ে চলছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে নতুন ফ্যানদেরকেও এনকারেজ করছে তাদের কোম্পানীর সাথে সংযুক্ত হতে। আর এটি আজ শুধু বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়, নিত্য নতুন বিভিন্ন ছোট/মাঝারী সবারই একটি ব্রান্ড ট্রেন্ড হিসাবে কাজ করছে।
এপ্রসঙ্গে গুগল প্লাস গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার Christian Oestlien বলেছেন, “small businesses are also jumping on the Google+ band wagon.”
তিনি আরো বলেন, “We have obviously a lot of involvement in the local space, “We’re seeing a lot of small businesses get on Google+ and use that to directly engage with their audiences.”
কিন্তু, গুগল প্লাস অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া সাইটের মত এতটা উম্মুক্ত না এখানো। কারন হিসাবে জানা যায়, অন্যান্য সোস্যাল সাইট যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার সবার জন্য উম্মুক্ত কিন্তু গুগল প্লাস এর অভিমত তারা কোয়ানটিটি’র চেয়ে কোয়ালিটিতেই বেশি জোড় দিচ্ছেন।
এপ্রসঙ্গে Oestlien এর পরামর্শ, “For example, if you’re a finance-oriented media company, make sure you’re posting stuff that’s interesting and relevant in that category and that you’re engaging with your audience,”.
এখন আপনিও যদি আপনার ব্রান্ড পেজ করে তা সফলতার সাথে পরিচালনা করতে চান তবে আপনাকে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। দেখুন কিভাবে…
১. কোম্পানীর জন্য ব্রান্ড লুক(লোগো)
দেখুন ছোট বা বড় সব কোম্পানীর জন্যই তাদের একটি লোগো বাদ্ধতামূলক। কারন এই লোগোটিই একটি কোম্পানীকে অন্যদের কাজে পরিচয় করিয়ে দেয় অতি সহজেই। তবে হ্যাঁ, লোগো হতে হবে ইউনিক এবং ব্র্যান্ডেড। যেকোন লোগো দিয়ে আপনার ব্র্যান্ড পরিচয় করিয়ে নিতে যত সময় লাগতে পারে ততক্ষনে অন্য কেউ আপনার পজিশন কেড়ে নিতে পারে। ব্যাপারটি অনেক স্পর্শকাতর। তবে হ্যাঁ. এমন কিছু লোগো আছে যেগুলো করার সময় চিন্তাও করা হয় নাই যে সেটি মার্কেট পাবে কিনা, কিন্তু পরে দেখা গেছে সেইসব সাধারন মানের লোগো ওয়ালারাই আজ বিশ্ব মাতাচ্ছে।
২. পেজের বিষয়বস্তুঃ
কোম্পানীর বিষয়বস্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনার মত একই পণ্য নিয়ে অনেকই ব্যবসায় খুলতে পরে, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে আপনি হতাশ হয়ে থাকবেন এটা কোন ব্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্য নয়। আপনার চেষ্টা থাকতে হবে আপনার প্রতিদ্বন্ডির থেকে আপনি কতটা আকর্ষণীয়ভাবে আপনার পণ্যের বাজারজাত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পণ্যের মান ও মূল্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে। একাই জাতীয় পণ্যের বাজারজাত স্টাইল যদি ভিন্নতর ভাবে প্রকাশ করা যায় তবে, ভিন্নতরটিই মার্কেটে টিকবে এটা প্রমাণিত। আর পণ্য যদি আলাদা হয় তাহলেতো আপনার পথ পরিস্কার। তবে হ্যাঁ, আপনাকে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে।
৩. শক্তিশালী কর্মীবাহিনী নিয়োগঃ
গুগল প্লাস এমন একটি ক্ষেত্র বা ময়দান যেখানে আপনি একটু বিচক্ষনতার সাথে চললেই বাজার ধরতে পারবেন। এটি যে শুধু আপনার বাজার বা বিক্রয় বৃদ্ধি করবে তা নয় পাশাপাশি আপনার ব্র্যান্ডকে অন্য ব্র্যান্ডে সাথে কাজ করতে সহায়তা করবে। হয়তো ভাবছেন কিভাবে? দেখুন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই সফল হয় দক্ষ ও শক্তিশালী কর্মীবাহিনীর দ্বারা। আপনি কোম্পানীর মালিক হিসাবে কোম্পানী শুরু থেকেই চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনার প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সূ-দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয়। আপনাকে সব সময় তদারকীতে থাকতে হবে কিভাবে নতুন এবং ভাল মানের কর্মী এবং ক্রেতা পেতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে Oestlien এতটি বিবৃতিতে বলেছেন, “A lot of people already talk about getting a lot of referral traffic from Google+ than other potential properties out there, primarily because I think they’re able to hit the right audience and do it in a really relevant way,”.
উপরের পদ্ধতিগুলো শুরুর দিকেই মেনে চলা প্রতিটি নতুর প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কষ্টর। কিন্তু আপনার লক্ষ্য যদি থাকে সামনের পথকে প্রসারিত করা তাহলে কি আপনি চুপ করে বসে থাকবেন? দেখুন গত কালের পেজ/কোম্পানীটি কিন্তু আজ থেকে নেই। তারা সফলতার পথে আর আপনি? সফল কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের এবং গুগল প্লাসের এখন পর্যন্ত সফল শীর্ষ দশটি পেজের নমূনা দেখুন নিচেঃ
http://banglamdfarid-com.webs.com/