চান্দেরনগরের মাইল তিনেক দূরেই ওলন্দাজ কুঠি চিনসুরা১। তখন বাংলার নবাব মীর জাফর। ইংরেজের বদান্যতায় গদীতে বসেছিলেন বলেই হয়তো কবে আবার চড় দিয়ে নামিয়ে দেয় সেই ভয় তার ছিল। তাই নবাব ওলন্দাজদের বাংলায় একটা কুঠিস্থাপনের অনুমতি দেন যেন আবার পোল্টি খাওয়ার দরকার পড়লে আরেক সাদা লোকের সাহায্য পাওয়া যায়। বাটাভিয়া২ থেকে সাত যুদ্ধজাহাজ বোঝাই করে এল কামানবন্দুক আর ১১০০ সৈন্য, ইয়োরোপীয় আর মালয়। কথা ছিল এরা আসছে করোম্যান্ডেল ঊপকূলে (ছবি দ্রষ্টব্য) ওলন্দাজ ভারতের জন্যে, কিন্তু দিক পালটে এদের হুগলী পাঠানো হয়। ক্লাইভ ছিল অতি ধুরন্ধর, এই ঘটনা তার নজর এড়ায়নি। নবাবের মতলবও তার অজানা ছিলনা। ওলন্দাজেরা কিন্তু তাকে না চটিয়ে বাণিজ্যে মন দিল যুদ্ধসমাবেশে নয়। সদ্য মুসলমান রাজত্ব ভেঙে ছত্রখান হয়েছে, অলরেডি ভারতীয় মুসলমানেরা ক্ষিপ্ত। এই সময় নতুন শত্রু বাড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা ভাবলেন ক্লাইভ। দুই শত্রু জাত অতএব ভালো ছেলের মত পাশাপাশি রইলো।
পাদটীকা
- ১. চিনসুরা অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিম বাংলার চুঁচুড়া
- ২. বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাকে ঔপনিবেশিক আমলে ডাকা হত বাটাভিয়া
http://banglamdfarid-com.webs.com/